শিশুদের খাবার খাওয়ানোর সময় একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় শিশুকে মাছ খাওয়াচ্ছেন আর অসাবধানতাবশত মাছের কাঁটা শিশুর গলায় বেঁধে গেল।
শুধু মাছের কাঁটা নয়, শিশুরা খেলার ছলে গলায় ধাতব মুদ্রা বা পয়সা, খেলনার ছোট অংশ, মাংসের হাড়, বোতাম ও সেফটিপিন আটকাতে পারে। এ সময় অনেক বাবা-মায়ে ভয় পেয়ে যান। আবার দেখা গেছে, এই অবস্থায় অনেক শিশুর মৃতুও হয়েছে।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর হলায় কিছু আটকেছে-
১. গলবিল ও খাদ্যনালির সংযুক্ত স্থান হল খাদ্যনালির সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গা। এখানেই বেশিরভাগ জিনিস আটকায়। এ ছাড়া খাদ্যনালিতে চারটি সংকুচিত পয়েন্টে যে কোনো কিছু আটকাতে পারে।
২.গলায় কিছু আটকালে খুব ছোট্ট শিশুরা গলায় ইশারা করবে, কান্না করবে, অতিরিক্ত লালা বের হবে বা চোখ উল্টে দিতে পারে। বড়রা গলায় কিছু আটকে যাওয়ার কথা বলবে। ৩. গলায় কিছু আটকালে ঢোক গিলতে অসুবিধা হতে পারে, গলাব্যথা হতে পারে, বমি বমি ভাব হতে পারে।
৪. এ ক্ষেত্রে গলা বা বুকের এক্স-রে করে দেখা হয়, ইসোফ্যাগোস্কপির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়।
৫. রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এর পর সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে খাদ্যনালিতে আটকানো জিনিস বের করতে হবে।
কী করবেন?
শিশুর গলায় কিছু আটকে গেলে শিগগির হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অথবা নিকটস্থ নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে।